চোখ উঠলে করণীয়/Eyes Problem Solution In Bangla
চোখ উঠলে করণীয়/Eyes Problem Solution In Bangla |
Read More>>বাচ্চাদের দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়
চোখ ওঠা বর্তমানে একটি খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। আজ আপনাদের জানাবো চোখ ওঠা লক্ষণ;চোখ উঠলে করনীয় এবং ঘরোয়া উপায়ে সমাধান।
চোখ ওঠা কিঃ-
চোখ উঠলে করণীয়/Eyes Problem Solution In Bangla |
Read More>>শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
চোখ ওঠা একটি ভাইরাসজনিত রোগ এবং এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ।কনজাংটিভা নামে চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে একে চোখ ওঠা রোগ বলে ।
ব্যাকটেরিয়া ও এলার্জির কারণে চোখ ওঠে, সাধারণভাবে চোখ ওঠা বলতে চোখ লাল হওয়া কে বোঝানো হলেও চোখ লাল হওয়া চোখ ওঠার উপসর্গ মাত্র। চোখ ওঠা রোগের চোখের দিকে তাকালে ওঠেনা। যদিও ভাইরাসে আক্রান্ত চোখ কিছুদিনে ভালো হয়ে যায়। কিন্তু অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে আশেপাশে যারা থাকে তারা আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত রোগী কতদিনের সুস্থ হবে সেটা নির্ভর করে সে কি ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমনতার ওপর ।
চোখ ওঠার কারণঃ-
Read More>>মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলেএবং বিভিন্ন ভাইরাসজনিত কারণে চোখ লাল হতে পারে। ভাইরাস কেরাটাইটিস সাধারণত এই ধরনের ইনফেকশন এক চোখ আক্রান্ত হয় ।এছাড়া ময়লা ধুলাবালি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ কেমিক্যাল এমনকি মেকাপের ভিন্ন ভিন্ন আইটেম গুলো ব্যবহারেরএর কারণে চোখ লাল হতে পারে।
চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহঃ-
চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো তুলে ধরা হলো। সবগুলো উপসর্গ একসাথে দেখা দিতে পারে আবার নাও দিতে পারে ।
১।চোখের চারপাশে হালকা লাল হতে পারে ।
২।চোখের চারপাশএবং চোখের পাতা ফুলে যেতে পারে ।
৩।চোখের ভিতর জ্বালাপোড়া করবে ।
৪।চোখের ভিতর অস্বস্তি শুরু হয় রোদে বা আলোতে তাকাতে কষ্ট হয়।
৫। চোখ থেকে অতিমাত্রায় পানি পড়ে সামান্য ব্যথা হয় ।
৬।চোখ থেকে শেরশাহ জাতীয় পদার্থ বের হয় হলুদ রঙের ময়লা সৃষ্টি হয়।
৭। ঘুম থেকে ওঠার পরে চোখের দুটি পাপড়ি একসাথে জুড়ে থাকে।
সাধারণত সাত থেকে আট দিনের ভিতরে কমে যায় কিন্তু দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা থাকেএবং
কর্নিয়াতে সাদা দাগ পড়ে যা খালি চোখে দেখা যায় না ।
চোখ ওঠা রোগের জীবাণু যেভাবে ছড়ায়ঃ-
চোখ উঠলে করণীয়/Eyes Problem Solution In Bangla |
Read More>>নাকের কালো দাগ দূর করার উপায়
এটি অতি ছোঁয়াচে একটি রোগ চোখ থেকে যে পানি বের হয় সে পানির সাথে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে থাকে যার ফলে হাত দিয়ে আমরা যা স্পর্শ করি সেটাতে ভাইরাস ছড়ায় যেমনঃ-
১) টিভির রিমোট ধরা।
২)এসির রিমোট ধরা।
৩) তোয়ালে।
৪) বিছানার চাদর।
৫)বালিশের কভার ।
৬)মোবাইল ফোন।
এই সকল জিনিস এর মাধ্যমে ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ায় ।
বাইরে গেলে যখন আমাদের চোখে ধুলাবালি যায় তখন আমরা হাত দিয়ে চোখ মুছি তাই জিবানুগুলো খুব সহজেই হাত থেকে রিক্সা; বাস গাড়ি; বেবি টেক্সি ইত্যাদি জিনিসগুলোতে ছড়ায়।এমন ভাবে নানা জায়গায় এবং কর্মক্ষেত্রে জীবাণুগুলো খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা জিনিসগুলো সুস্থ ব্যক্তি ধরলে সেও আক্রান্ত হতে পারে তাই আক্রান্ত ব্যক্তি বাহিরে না গিয়ে অবশ্যই বাসায় অবস্থান করতে হবে ।
চোখ উঠা বেশি ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে এ ধরণের রোগির বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন । একান্ত প্রয়োজন নাহলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া উচিত নয় ।পরিষ্কার টিস্যু অথবা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা এবং যতটা সম্ভব ওই কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে ।অন্য চোখে যাতে আক্রান্ত না হয় সেজন্য ভালো চোখে হাত না লাগানো।তবে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে অন্য আরেকটি চোখ আক্রান্ত হয় ।তাই ঘুম থেকে ওঠার পর তোয়ালে বালিশের কভার এগুলো হুইল পাউডার এবং গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।ভাইরাস আক্রান্ত চোখ ৭ থেকে৮ দিনের মাথায় এমনিতেই ভালো হয়ে যায় ।আক্রান্ত চোখকে নোংরা পানি ধুলোবালি থেকে নিরাপদে রাখতে হবে বাহিরে বের হলে অবশ্যই চোখে সানগ্লাস পড়তে হবে । যার ফলে রোদের আলোতে গেলে চোখ জ্বালাপোড়া এবং জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে ।যে পাশের চোখ উঠবে সেই পাশে কাত হয়ে সোয়া যাতে অন্য চোখে আক্রান্ত চোখের পানি এসে না লাগে। চোখে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করা বা পানির ঝাপটা দেওয়া যাবে না।খুব বেশি চুলকালে; ব্যথা হলে এবং চোখের পর্দা লাল হয়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে । নবজাতকের চোখ উঠলে ঔষধ ব্যবহারের পরেও কিছুদিন লাল অথবা ফুলে থাকতে পারে ।লাল রং এবং ফোলা বেশি দিন থাকলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে । ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
Read More>>মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা
চোখ ওঠা রোগের চিকিৎসাঃ-
ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর কোন কোন চোখে ব্যাকটেরিয়া দেখা দিতে পারে তাই আমরা চোখে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ দিনে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করতে পারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ না হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন এর জন্য ব্যবহার করতে পারি ।চোখের চুলকানি থাকলে এলার্জিজনিত ঔষধ সেবন করতে হবে ।ব্যাথা হলে ব্যাথার ঔষধ হিসেবে নাপা খেতে পারি ।তবে যে কোন ঔষধ সেবন করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ।চোখ ওঠা ভালো হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগতে পারে তাই আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে একটু কষ্ট কম হবে অথবা জ্বালাপোড়া ব্যথা অনুভূতি কম হতে পারে।
চোখের কঠিন সমস্যা হওয়ার আগে আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ একটু অবহেলার কারণে আমাদের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে । চোখ ওঠা একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ তাই যাদের চোখ উঠেনি তাদের উচিত চোখ ওঠা রোগীর সংস্পর্শ পরিহার করা যেমন; তার ব্যবহৃত রুমাল, তোয়ালে, কাপড় ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা এমনকি তাদের সাথে হাতে হাত মেলানোর ব্যাপারেও সর্তকতা অবলম্বন করা ।এ সকল ক্ষেত্রে হাত তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলতে হবে ।হাত না ধুয়ে অথবা সেনিটাইজার ব্যবহার না করে চোখে হাত দেওয়া যাবে না।
Read More>>নখ সাদা করার উপায়
চোখ উঠলে ঘরোয়া চিকিৎসাঃ-
গরম সেকঃ- চোখের ফোলা ভাব ও চোখ ওঠার যন্ত্রনা দূর করতে গরম সেকের কোন বিকল্প নেই। চুলায় কোন পাতিল বা ফ্রাইপ্যান গরম করে একটি পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে চোখে ভাপ দিতে হবে। দিনে কমপক্ষে তিন থেকে চার বার এটি ব্যবহার করতে হবে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট করে।
চোখ উঠলে করণীয়/Eyes Problem Solution In Bangla |
Read More>>রোজার ডায়েট চার্ট
ক্যাস্টর অয়েলঃ- ক্যাস্টর অয়েল উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েল প্রদাহ কমাতে অনেক সাহায্য করে। প্রথমে আক্রান্ত চোখে কমপক্ষে 10 মিনিট গরম ভাপ দিতে হবে তারপর একটি তুলার বল বানিয়ে নিতে হবে সেই বলটিতে ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে আলতো করে চোখে লাগাতে হবে। এতে ব্যথা দিয়ে মুক্তি পাওয়া যাবে।
চোখ উঠলে করণীয়/Eyes Problem Solution In Bangla |
Read More>>মাংস রান্নার রেসিপি
পেয়ারা পাতাঃ- পেয়ারা পাতায় আছে জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। পেয়ারা পাতাটি একটি গরম পাত্রে গরম করে নিতে হবে। এরপর একটি নরম সুতি কাপড় দিয়ে পেয়ারা পাতা জড়িয়ে তারপর চোখের উপর দিতে হবে। এই পদ্ধতিটি দিনে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করলে চোখের ব্যথা কমার সাথে সাথে পুনরায় চোখ ওঠা থেকে বিরত রাখবে।
চোখ উঠলে করণীয়/Eyes Problem Solution In Bangla |
Read More>>ডাল রান্নার রেসিপি
0 মন্তব্যসমূহ